জেনে নিন- ভারত,চীন,পাকিস্তান সহ আজকের সর্বশেষ সকল আন্তর্জাতিক সংবাদ ...
গালওয়ান উপত্যকা: ভারতের সাথে সীমান্ত সংঘর্ষের পর তিব্বতে মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক পাঠাচ্ছে চীন
তিব্বত মালভূমিতে অবস্থানরত চীনা সৈন্যদের মার্শাল আর্ট শেখানোর জন্য ২০জন প্রশিক্ষক পাঠাচ্ছে চীন।
এই সিদ্ধান্তের কারণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য দেয়া হয়নি। তবে চীনা সীমান্ত রক্ষীদের সাথে সংঘর্ষের পর অন্তত ২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হওয়ার পরপর তাদের এই সিদ্ধান্ত এলো।
দুই দেশের মধ্যে ১৯৯৬ সালের সমঝোতা অনুসারে, ওই এলাকায় কোন পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র বা বিস্ফোরক বহন করে না।
ভারত যদিও জানিয়েছে, ২০ জন সৈন্য নিহত হওয়ার পাশাপাশি তাদের ৭৬ জন আহত হয়েছে, তবে চীন তাদের সৈন্য হতাহতের ব্যাপারে কোন তথ্য জানায় নি।
হংকংয়ের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক পাঠানোর এই খবরটি চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোয় গত ২০শে জুন প্রকাশিত হয়েছে।রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ২০ জন মার্শাল আর্ট যোদ্ধা তিব্বতের রাজধানী লাসায় অবস্থান করবে। তবে চীনের গণমাধ্যমগুলো এটা নিশ্চিত করেনি যে, তারা ভারত সীমান্তে দায়িত্বরত চীনা সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেবে কিনা।
দিল্লির আকাশে পঙ্গপাল: 'আকাশে যেন হলুদ রঙের মেঘ ছেয়ে গেছে আর একটানা শব্দ'
ভারতের রাজধানী দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় শনিবার সকালে লক্ষ লক্ষ পঙ্গপাল ঢুকে পড়েছে। দিল্লি লাগোয়া গুরগাঁওয়ের ওপর দিয়ে পঙ্গপালের দল উড়ে যায়।
কোনও ক্ষতি তারা করে নি গুরগাঁও বা দিল্লির, কিন্তু যেদিকে তাদের যেতে দেখা গেছে, সেই উত্তরপ্রদেশে ফসলের বড়সড় ক্ষতি তার করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মূলত ভূট্টা, গম, ধানের মতো ফসল খেতে এরা ভালবাসে। আবার উষ্ণ এবং আর্দ্র অঞ্চলও চাই এদের।গুজরাত আর রাজস্থানে সরকারি গবেষণাগার আছে, যারা পঙ্গপালের হানা নিয়ে আগাম সতকর্তা দেয়। সেই অনুযায়ী প্রশাসন সাধারণ মানুষকে সতর্কও করেছিল। বলা হয়েছিল দরজা জানলা বন্ধ রাখতে, আর থালা বাটি বাজিয়ে শব্দ করতে, যাতে পঙ্গপালের দল দূরে সরে যায়। তৈরি রাখা হয়েছে পতঙ্গনাশক স্প্রে।
"শব্দ করা বা সাইরেন বাজালে অথবা গাড়ির হর্ণ বাজালে পঙ্গপাল সরে যায়, আর পতঙ্গনাশক ওষুধও স্প্রে করা যায়।
‘ভারত জানে কী ভাবে জবাব দিতে হয়’, চিনকে কড়া বার্তা ‘মন কি বাতে’
ভারত যেমন বন্ধুত্ব জানে, তেমনই চোখে চোখ রেখে কথা বলতেও জানে। চিনের মোকাবিলায় ভারত যে প্রয়োজনে কড়া মনোভাব নিতে দ্বিধা করবে না, মাসের শেষ রবিবারের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে সেই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে যারা নজর দিয়েছিল, তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হয়েছে।’’ পাশাপাশি এসেছে, নাম না-করে চিনা পণ্য বয়কটের প্রসঙ্গও, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রাপ্ত অসমের এক নাগরিকের মন্তব্যের প্রসঙ্গ এনে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘পূর্ব লাদাখের ঘটনার পরে উনি শুধুমাত্র দেশীয় পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’মোদী এদিন বলেন, ‘‘আমাদের বীর সেনারা দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁরা কোনও অবস্থাতেই ভারতমাতার গৌরবে আঁচ আসতে দেবেন না।’’ শহিদ জওয়ানদের আত্মবলিদানকে স্মরণে রেখে প্রত্যেক ভারতবাসীকে দেশরক্ষার শপথ নিতেও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সমাবেশ করছে পাকিস্তান, সতর্ক ভারত
গলওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের হাতে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যেই নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সমাবেশ করছে পাকিস্তান।
তবে পাকিস্তান কোনো অভিযানে নামলে উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে বলে হুশিয়ার দিয়েছে ভারতীয় সেনা।‘পাকিস্তান সম্প্রতি জানিয়েছিল তারা ভারতের পক্ষ থেকে আক্রমণের আশঙ্কা করছে। হয়তো তারা নিজেদের সুরক্ষার জন্যই সেনা সমাবেশ করেছে। তবে আমরাও সতর্ক আছি।’
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন : ট্রাম্পের চেয়ে অনেক এগিয়ে বাইডেন
একদিকে করোনাভাইরাস সঙ্কট মোকাবিলায় সরকারের লেজেগোবরে অবস্থা, অন্যদিকে দেশজুড়ে চলা বর্ণবিদ্বেষবিরোধী বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে মার্কিন মুলুকে। চড়ছে ভোটের উত্তাপ। আর সেই সেয়ানে সেয়ানে লড়াইয়ে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তার সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ধরে থাকার স্বপ্নকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে থাবা বসিয়েছেন রিপাবলিকান ভোটব্যাংকে। বেশ কয়েকটি জনমত সমীক্ষায় এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের সমীক্ষা অনুযায়ী ট্রাম্পের থেকে ১৪ শতাংশ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। তাদের সমীক্ষায় ট্রাম্পকে ফের হোয়াইট হাউসে দেখতে চেয়েছেন ৩৬ শতাংশ। আর ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে দেখতে চেয়েছেন ৫০ শতাংশ। অ-শ্বেতাঙ্গেরা ভরসা রাখছেন বাইডেনের উপরেই। শুধু তাই নয়, করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা, দেশের আর্থিক টালমাটাল অবস্থা এবং বর্ণবিদ্বেষবিরোধী বিক্ষোভের জেরে দেশের একটা বড় অংশ ট্রাম্পের প্রতি বীতশ্রদ্ধ। মহিলা ও দেশের তরুণ প্রজন্মও বাইডেনের দিকে ঝুঁকে রয়েছেন। ৪৫ বছরের কম বয়সী ৫২ শতাংশ শ্বেতাঙ্গ বাইডেনকে সমর্থন জানিয়েছেন। যেখানে ট্রাম্প পেয়েছেন মাত্র ৩০ শতাংশ ভোট।
Comments
Post a Comment